গত বৃহস্পতিবার অভিমানে অবসর গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সভাপতিসহ বাকি সবাই যখন তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ, তখন মাশরাফি তামিমকে নিয়ে যান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করাতে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম ইকবাল।
তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয় মাশরাফিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)এর সভাপতি বানানের জন্য। এই দাবিটা অবশ্য ক্রিকেট প্রেমিদের অনেক দিনের। অনেকে বলছে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল যেমন বদলে গেছে ঠিক তেমনি বদলে যাবে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিও।
তামিমের অবসর থেকে ফেরার ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি করার দাবিতে পোস্ট করেছে। তবে চাইলেই সমর্থকদের এই দাবি বাস্তবায়ন করা যাবে না। কেননা বিসিবির সভাপতি হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদে প্রার্থীকে অবশ্যই পরিচালক হইতে হবে।
সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন। এছাড়াও কান্সিলর হয়ে তিন বছরের দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাশরাফির এমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় চাইলেও এখনই সাবেক এ অধিনায়ককে বোর্ড সভাপতি করা যাবে না। এছাড়া বিসিবির নির্বাচনেরও অনেক দিন বাকি।